সেতুমন্ত্রীর দামী ঘড়ি কেন রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা হলো না : প্রশ্ন টিআইবির

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের দামি ঘড়ির আলোচিত সংগ্রহের ব্যাখ্যাকে প্রশ্নবিদ্ধ ও অপর্যাপ্ত বিবেচনা করে এসব সামগ্রী কেন যথানিয়মে ও যথাসময়ে রাষ্ট্রীয় তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না, তা দেশবাসীকে জানাবার আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একইসাথে সংগৃহীত এ ধরনের উপহার কী ঘড়িতেই সীমাবদ্ধ, এরূপ সংগ্রহ কী শুধু সড়ক ও সেতু মন্ত্রীরই, না কী এর স্বরূপ ও বিস্তৃতি আরো ব্যাপক ও গভীর, তা খতিয়ে দেখে দেশবাসীকে জানাবার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে সংস্থাটি।

আজ শুক্রবার এক বিবৃতিতে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক গণমাধ্যমে প্রকাশিত সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং ক্ষমতাসীন দলের সাধারণ সম্পাদকের বিলাস বহুল ঘড়ির সংগ্রহ সম্পর্কে গতকাল (৯ জানুয়ারি ২০২০) সচিবালয়ে সংবাদকর্মীদের প্রশ্নের উত্তরে মাননীয় মন্ত্রী যে ব্যাখ্যা দিয়েছেন তা প্রশ্নবিদ্ধ, ও পর্যাপ্ত নয়, বরং আরো গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নের উদ্রেক করেছে। যেভাবেই তিনি উপহারসমূহ পেয়ে থাকুন না কেন ২০১২ সালের জুনে হালনাগাদকৃত তোশাখানা বিধি ১৯৭৪ অনুযায়ী উপহারসমূহ যথাসময়ে তোশাখানায় জমা দেয়া হলো না কেন; জমা না দেবার সিদ্ধান্ত যেহেতু তিনি নিয়েছেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট ধারা অনুসরণ করে উপহার প্রাপ্ত বস্তুর প্রকৃত মূল্য অনুযায়ী অর্থ রাষ্ট্রীয় কোশাগারে জমা দেয়া হয়েছে কী না? এ ধরনের প্রশ্নের সুনির্দিষ্ট উত্তর জানার অধিকার জনগণের রয়েছে।’

বিবৃতিতে আরো উল্লেখ করা হয়, গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্যমতে মন্ত্রী মহোদয় বলেছেন যে, ঠিকাদাররা নির্বাচনের সময় ‘একটা এমাউন্ট’ দিতে চেয়েছিল, যা তিনি গ্রহণ করেননি। তার মতো গুরুত্বপূর্ণ অবস্থানে থেকে সেসকল ঠিকাদারদের এ ধরনের অনৈতিকতা ও দুর্নীতির চর্চা প্রতিরোধে কী পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে? কাউকে কী তালিকাভুক্ত করা হয়েছে? না কী কমপক্ষে জনস্বার্থে তাদের তালিকা প্রকাশ করা হবে? জানতে চায় টিআইবি। বিষয়গুলো প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা এবং নিজের দলের নেতাকর্মীসহ কাউকে ছাড় দেয়া হবে না- এই অঙ্গীকারের সাথে কী সামঞ্জস্যপূর্ণ বিবেচিত হবে? এসব প্রশ্নের জবাব দেবার মতো সৎসাহসের দৃষ্টান্ত সরকারের প্রতি জনগণের আস্থা সৃষ্টিতে সহায়ক হবে বলে মনে করছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক।

তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু শতবর্ষ উদ্যাপন কার্যক্রমের শুরুর লগ্নে স্মরণ করা অযৌক্তিক হবে না, যে তোশাখানা বিধি জাতির পিতার নেতৃত্বাধীন সরকার কর্তৃক প্রণীত হয়েছিলো, বর্তমান সরকারের আমলে হালনাগাদ হয়েছে, আর নভেম্বর ২০১৮ সালে তোশাখানা জাদুঘর উদ্বোধন করা হয়েছিলো।

প্রেস বিজ্ঞপ্তি

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ