বগুড়ায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাস ভাঙচুর

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়ার দুপচাঁচিয়ায় শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাস ভাংচুরের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায়  থানায় মামলা দায়ের করেছেন বাদি। তবে মামলা থেকে বাঁচতে আসামি পক্ষ বাদিকে ভয় দেখিয়ে স্ট্যাম্পে জোড়পূর্বক বাদির স্বাক্ষর নিয়ে বাদির নামে ভূয়া এফিডেভিট তৈরির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ নিয়ে বাদি ফেরদৌস কোন ধরণের এফিডেফিট করেননি বলে পুলিশকে জানিয়েছেন। গত বুধবার তিনি বগুড়ার নোটারী পাবলিকের মাধ্যমে এ কথা জানান।

এ ব্যাপারে দুপচাঁচিয়া থানার ওসি মো: আবুল কালাম আজাদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেছেন বাদি ফেরদৌস তার কাছে এ বিষয়ে এই অভিযোগ করেছেন। এ বিষয়ে বাদি আগের এফিডেভিট বাতিল ঘোষণা করে পাল্টা এফিডেভিট করেছেন। ওসি আরও বলেন, এই বাস ভাংচুর মামলায় ৪ জন আসামিকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গত ১৯ ও ২০ জুলাই এই ৪ জনকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলো আবু বক্কর (৪০),তামি (২৭),মো: রাজু (২৮) ও রেজাউল হক বাচ্চু (৩০)।

এ দিকে,নোটারী পাবলিকের সম্মুখে বাদি ফেরদৌস আগের এফিডেভিট বাতিল বলে ঘোষণা করে পাল্টা এফিডেভিটে উল্লেখ করেন, গত ১৮ জুলাই বেলা ২টার দিকে নওগাঁ থেকে শাহ ফতেহ আলী যাত্রীবাহী বাস দুপচাঁচিয়ার সাহারপুকুর এলাকায় পৌঁছলে আসামি জুয়েল আলী, মোহিত তালুকদার এবং মিনহজ আলীসহ ২০/২৫জন অজ্ঞাতনামা আসামি ইট পাটকেল ও পাথর নিক্ষেপ করে বাসটি ভাংচুর করে। পরে তিনি শহরের উপকন্ঠে চারমাথা এলাকায় গিয়ে বাস মালিক সমিতি ও শ্রমিক নেতৃবৃন্দের সাথে কথা বলে আসামিদের নাম ঠিকানা সংগ্রহ করে দুপচাঁচিয়া থানায় ২২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা করেন। পরে এ ঘটনায় পুলিশ ৪ জন আসামিকে গ্রেফতার করে। কিন্তু এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আসামিদের সহযোগীরা গত ২৩ জুলাই সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে চারমাথা এলাকায় তাকে ঘেরাও করে এবং মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে ১০০ টাকার তিনটি নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে জোর করে টিপসই নেয় এবং তার প্যান্টের পকেট থেকে জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি নিয়ে তাকে ছেড়ে দেয়। পরে তারা তার টিপসই নিয়ে মামলার আপোষ সংক্রান্ত কাল্পনিক বক্তব্য লিখে বগুড়ার এক নোটারী পাবলিকের এডভোকেট এর সেরেস্তায় একটা এফিডেভিট সৃষ্টি করে। কিন্তু তিনি ওই নোটারী পাবলিকের সামনে হাজির হননি এবং মামলা প্রত্যাহার সংক্রান্ত কোন এফিডেফিট করেননি। সেইসাথে পুলিশ সাদা কাগজে স্বাক্ষর নিয়ে নিজেই আসামিদের নাম ঠিকান বসিয়েছে সেটিও সত্য নয়। বরং এটি সত্য যে তিনি বাস মালিক নেতৃবৃন্দসহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ২২জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করেছেন। আগে তার টিপসই দিয়ে যে এফিডেভিট করা হয়েছে তা বাতিল বলে গন্য হবে।

এ ব্যাপারে বগুড়া বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারন সম্পাদক এবং  শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের এমডি মো: আমিনুল ইসলাম বলেন, শাহ ফতেহ আলী পরিবহনের বাস ভাংচুর ঘটনায় মামলার বাদি ফেরদৌসকে তুলে নিয়ে গিয়ে এফিডেভিটে জোবপূর্বক সই নেয়া হয়েছে। তিনি এ ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন এবং সেইসাথে এ ঘটনায় জড়িত অন্যান্য আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানান।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩১৪১৫১৬
১৭১৮১৯২০২১২২২৩
২৪২৫২৬২৭২৮২৯৩০
৩১