চিরিরবন্দরে গরুর দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে মালিক-খামারিরা

চিরিরবন্দর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি: গরুর লাম্পি স্কিন রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা দেয়ায় এবং হাট-বাজারে দাম কমে যাওয়ায় গরুর মালিক ও খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। এ রোগের কারণে হাট-বাজারে ক্রেতাস্বল্পতা ও গরুর দাম কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে তারা।

কয়েক মাস ধরে উপজেলায় গরুর লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগ দেখা দিয়েছে। গবাদি পশু বাঁচাতে ও জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে মাইকিংয়ের পাশাপাশি উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয় উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ক্যাম্পেইন, উঠান বৈঠক ও টিকাদান কর্মসূচি পালন করেছে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, উপজেলার ১২টি ইউনিয়নে ১৮৮টি গরু লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগে আক্রান্ত হয়।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সরফরাজ হোসেন জানান, লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগে আক্রান্ত এসব গরুকে চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করে তোলা হয়েছে। এ পর্যন্ত উপজেলায় ৭টি গরু মারা গেছে। গরু ব্যবসায়ী মো: আফতাবউদ্দিন জানায়, লাম্পি স্কিন রোগের জন্য গরুর মৃত্যুর ভয়ে বিক্রি কমে গেছে। হাটে ক্রেতা কম থাকায় প্রতিটি গরুর দাম ৪-৫ হাজার টাকা কমে গেছে।

হাট-বাজারে দাম কমে যাওয়ায় গরু মালিক ও খামারিরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে। গবাদি পশুর পল্লী চিকিৎসক মো: জামালউদ্দিন ও ফয়জুল হক জানান, লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগে আক্রান্ত গরু প্রথমদিকে কিছুই খেতে চায় না। গরুর শরীরে জ্বর আসে। জ্বরের সাথে গরুর নাক-মুখ দিয়ে লালা বের হয় এবং পা ফুলে যায়। এরপর পুরো শরীরে দেখা দেয় প্রচুর গুটি বা চাকা।

আস্তে আস্তে শরীরের লোম উঠে গিয়ে ক্ষতের সৃষ্টি হয়। এই ক্ষত পুরো শরীরে ছড়িয়ে পড়ে। উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. আবু সরফরাজ হোসেন জানান, লাম্পি স্কিন (এলএসডি) রোগ বর্তমানে নিয়ন্ত্রণে আছে। মশা ও মাছির মাধ্যমে এ রোগ বেশি ছড়ায়। গরু মালিকদের আক্রান্ত গরুকে মশারির ভিতরে রাখার জন্য পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ