হার্ট ফেইলিউর রোগীদের মৃত্যুর ঝুঁকি কমাতে শজিমেক হাসপাতালে ক্লিনিকের যাত্রা শুরু

স্টাফ রিপোর্টার: বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের হার্ট ফেইলিউর রোগীরদের চিকিৎসা সেবায় নতুন দ্বার উন্মোচিত হয়েছে। হার্ট ফেইলিউর রোগীদের জীবন মানের উন্নতি,বার বার হাসপাতালে ভর্তির প্রবণতা হ্রাস ও মৃত্যুর ঝুঁকি কমানোকে সামনে রেখে হার্ট ফেইলিউর ক্লিনিকের যাত্রা শুরু হয়েছে।

জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে গতকাল রোববার সকাল ১০ টার দিকে হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগে এই ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি ঢাকা জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের প্রাক্তন পরিচালক প্রফেসর ডা: মো: আব্দুল্লাহ আল সাফি মজুমদার।

শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জুলফিকার আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ডা: মো: রেজাউল আলম। অনুষ্ঠানের সার্বিক দায়িত্বে ছিলেন হাসপাতালের হৃদরোগ বিভাগের বিভাগীয় প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক ডা: শেখ মো: শহিদুল হক।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কার্ডিওলজিসহ অন্যান্য বিভাগের চিকিৎসকবৃন্দ, শজিমেক এর উপাধ্যক্ষ প্রফেসর সুশান্ত কুমার সরকার,শিক্ষক সমিতির প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ডা: নিতাই চন্দ্র সরকার, সেক্রেটারি ডা: মনিরুজ্জামান আশরাফ বিপুল এবং শজিমেক এর উপ-পরিচালক ডা: আব্দুল ওয়াদুদ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, হার্ট ফেইলিউর,হৃদরোগের এক জটিল সমস্যা। অনিয়ন্ত্রিত ডায়াবেটিস, রক্তচাপ,রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি, ধূমপান, স্থূলতা, অ্যালকোহল গ্রহণ, কায়িক পরিশ্রম না করা,সময় মত হার্ট ব্লক এর চিকিৎসা না করা এবং ব্যথানাশক ও স্টেরয়েড জাতীয় ওষুধ সেবন হার্ট ফেইলিউর রোগের প্রধান কারণ।

হার্ট ফেইলিউর ক্লিনিক হার্ট ফেইলিউর রোগীদের জন্য একটি সমন্বিত চিকিৎসা ব্যবস্থাপনা নিশ্চিত করবে যা চিকিৎসার পাশাপাশি কার্ডিয়াক রিহাবিলাইটেশন এর জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে। হার্ট ফেইলিউর ক্লিনিকের মাধ্যমে যদি একটি সমন্বিত বিশেষায়িত চিকিৎসা প্রদান করা যায় তাহলে এই রোগে মৃত্যুর ঝুঁকি ২০ থেকে ৩০ ভাগ লোপ পাবে এবং বারবার ভর্তি প্রবণতা ২৫ থেকে ৭০ শতাংশ কমে আসবে।

বক্তারা বলেন, হৃদরোগের যথার্থ ও সময় উপযোগী চিকিৎসা ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে হৃদরোগ জনিত জটিলতা হার্ট ফেইলিউর রোগের সৃষ্টি হয়। বক্তারা আরো বলেন, বিশ্বে প্রায় ৬ কোটি ৪৫ লাখ লোক এই রোগে ভুগছে। বাংলাদেশে এর পরিমাণ প্রায় ৩০ লাখ।

হার্ট ফেইলিউর রোগ নির্ণয়ের ১ বছরের মধ্যে প্রায় ২০ থেকে ৩০ ভাগ এবং পাঁচ বছরের মধ্যে ৫০ ভাগ মানুষের মৃত্যু হয়। এক সমীক্ষায় দেখা যায় হার্ট ফেইলিউরে আক্রান্ত রোগীর শতকরা ২৫ ভাগ ১ মাসের মধ্যে এবং ৫০ ভাগ রোগী ৬ মাসের মধ্যে আবার হাসপাতালে ভর্তি হয়।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ