সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে: মুফতী মুহাম্মদ রেজাউল করীম

স্টাফ রিপোর্টার: ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ‘র আমীর আলহাজ্ব মুফতী সৈয়্যদ মুহাম্মদ রেজাউল করীম জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দেওয়ার দাবি জানিয়ে বলেছেন, দেশকে অনিবার্য ধ্বংসের হাত থেকে রক্ষা করার জন্য সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন দিতে হবে। ক্ষমতা ও ভোগ বিলাসের রাজনীতি আমজনতার কোন উপকারে আসে না।

দুনিয়ার উন্নতি ও আখেরাতে নাজাতের একমাত্র রাস্তা ইসলামী খিলাফত প্রতিষ্ঠা করা। ইসলামের সঠিক বাণী সমাজের সর্বস্তরে পৌঁছে দিতে হবে। তিনি গতকাল শুক্রবার বিকেলে বগুড়া শহরের ফতেহ্ আলী মোড়স্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে বগুড়া সদর উপজেলা শাখার তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ সব কথা বলেন। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, বগুড়া সদর উপজেলা শাখার সভাপতি মাওঃ শাহ জালালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত প্রতিনিধি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

বিদ্যমান রাজনৈতিক সংকট উত্তরণে সংসদ ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকারের অধিনে একটি সুষ্ঠু নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের দাবিতে দেশ ব্যাপি তৃণমূল প্রতিনিধি সম্মেলনের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আয়োজিত এ সম্মেলনে তিনি আরও বলেন, সাম্য, ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা এবং মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তির লক্ষ্যে অর্জিত স্বাধীনতার ৫২ বছর পরও কাংখিত লক্ষ্য হাসিল দূরের কথা, আওয়ামীলীগের কর্তৃত্ববাদী শাসনের দরুন দেশ আজ এক অরাজক পরিস্থিতির সম্মুখীন।

লুটপাট, সন্ত্রাস গোটা দেশকে গ্রাস করে ফেলেছে। দলীয় লোকদের কারণে ব্যাংক খাত দেউলিয়া হওয়ার পথে। ক্ষমতাসীনদের অনেকে অজস্র টাকা বিদেশে পাচার করে দেশকে অর্থনৈতিক ভাবে পঙ্গু করে দিয়েছে। নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সিন্ডিকেটের কারণে দ্রব্যমূল্য সাধারণ মানুষের ক্রয় ক্ষমতার বাইরে। সরকার অতিমাত্রায় প্রচারে দেশকে উন্নয়নের রোল মডেল বললেও নিম্ন মধ্যবিত্তের কোটি কোটি আমজনতা হাহাকার করছে।

তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ১৯৯৬ সালে বর্তমান সরকার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে বিএনপি সরকারের বিরুদ্ধে ১৭৩ দিন হরতাল অবরোধ করে দেশকে অচল করে দিয়েছিল। আজ শেখ হাসিনা সংবিধানের দোহাই দিয়ে দেশকে এক ভয়ানক পরিস্থিতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। তার মনে রাখা উচিত সংবিধান মানুষের কল্যাণের জন্য, সংবিধানের জন্য মানুষ নয়।

তিনি বলেন কোন দলীয় সরকার বিশেষ করে আওয়ামীলীগের অধিনে কখনো সুষ্ঠু নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় নি। ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচন তার জ্বলন্ত প্রমাণ। সম্মেলনে বিশেষ অতিথি ছিলেন, মাওলানা আব্দুল হক আজাদ।

সম্মেলনে আরও বক্তব্য রাখেন জেলা উপদেষ্টা মাওলানা আবুল কালাম আজাদ, মোঃ ইউনুছ আলী, জেলা সভাপতি মাওঃ আ.স.ম মামুনুর রশিদ, মাওঃ আব্দুল মতিন, জেলা সেক্রেটারী প্রভাষক শফিকুল ইসলাম, মুফতী এমদাদুল হক, প্রভাষক শাহজাহান আলী, ছাত্রনেতা রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ