টিসিবির জন্য ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনা হচ্ছে

বগুড়া নিউজ ২৪ঃ দেশের অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান সয়াবিন তেল কিনবে রাষ্ট্রায়ত্ত ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। দুই লিটারের পেট বোতলে দু’টি প্রতিষ্ঠান (৩০ লাখ লিটার ও ১০ লাখ লিটার) তেল সরবরাহ করবে। অগ্রীম আয়কর, মূসক ও টিসিবির গুদামে পরিবহন ব্যয়সহ প্রতি লিটার তেলের মূল্য দাঁড়াবে ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা। সেই হিসাবে এতে মোট ব্যয় হবে ৬৪ কোটি ৬০ লাখ টাকা। দুই লটে এই তেল দু’টি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে কেনা হতে পারে। এর একটির অবস্থান হচ্ছে যশোরে। এবং অন্যটি ঢাকার প্রতিষ্ঠান।

বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরে টিসিবির রাইস ব্রান তেল কেনার লক্ষ্যমাত্রা হচ্ছে ২ কোটি ৪০ লাখ লিটার। এর মধ্যে ১ কোটি ২৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার চুক্তিপত্র সই করা হয়েছে। এ ধারাবাহিকতায় ৪০ লাখ লিটার রাইস ব্রান তেল কেনার প্রস্তাব দিয়েছে সংস্থাটি। এ তেল সারা দেশে (সিটি করপোরেশন ও পৌরসভাসহ) টিসিবির ফ্যামিলি কার্ডধারী নি¤œ আয়ের প্রায় এক কোটি পরিবারের মধ্যে প্রতি মাসে ভর্তুকি মূল্যে বিক্রি করা হবে।

জানা গেছে, রাইস ব্রান তেল কেনার জন্য চলতি বছরের গত জুলাইয়ে স্থানীয় দু’টি জাতীয় দৈনিকে ও সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করা হলে চারটি দরপত্র জমা পড়ে। দরপত্রে ৪০ লাখ লিটারের আংশিক বা সর্বনি¤œ ১৫ লাখ লিটার রাইস ব্রান সরবরাহেরও সুযোগ রাখা হয়। দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি কর্তৃক চারটি দরপত্রই রেসপন্সিভ হিসেবে বিবেচিত হয়। এর মধ্যে সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান হিসেবে মনোনীত হয় যশোরের অভয়নগরের নোয়াপাড়া চাঙ্গুটিয়া এলাকার ‘মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেড’। দুই লিটার পেট বোতলে প্রতি লিটার তেল ১৬১ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৩০ লাখ লিটার তেল সরবরাহের প্রস্তাব দিয়েছে কোম্পানিটি।

সূত্র জানায়, সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান মজুমদার ব্রান অয়েল মিলস লিমিটেডের কাছে ৪০ লাখ লিটার তেল চাওয়া হলে কোম্পানিটি তা সরবরাহে অপরগতা প্রকাশ করে। এমতাবস্থায় দ্বিতীয় সর্বনি¤œ দরদাতা প্রতিষ্ঠান ঢাকার বাংলামোটরের মজুমদার প্রোডাক্ট লিমিটেডের কাছ থেকে অবশিষ্ট ১০ লাখ লিটার তেল কেনার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। এ প্রতিষ্ঠানটির প্রস্তাবিত দর হচ্ছে প্রতি লিটার ১৬২ টাকা এবং সরবরাহের প্রস্তাবিত পরিমাণ ছিল ২০ লাখ লিটার। পরে নেগোশিয়েসনের মাধ্যমে প্রতি লিটার তেল ১৬১ দশমিক ৫০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।
সূত্র জানায়, দরপত্রে অংশগ্রহণকারী অপর দুই প্রতিষ্ঠান- ময়মনসিংহের এমআরটি অ্যাগ্রো প্রোডাক্টস বিডি লিমিটেডের প্রতি লিটার প্রস্তাবিত দর ছিল ১৬৭ টাকা ৮০ পয়সা এবং ঢাকার এসিআই এডিবল অয়েলস লিমিটেডের প্রতি লিটার প্রস্তাবিত দর ছিল ১৭০ টাকা। উভয় প্রতিষ্ঠানই ১৫ লাখ লিটার করে তেল সরবরাহের প্রস্তাব দেয়।

সূত্র জানায়, রাইস ব্রান তেল কেনার প্রাক্কলিত দর হচ্ছে- প্রতি লিটার ১৭৫ টাকা ৪০ পয়সা এবং বর্তমানে স্থানীয় বাজারে প্রতি লিটার রাইস ব্রান তেলের খুচরা মূল্য ১৮০ টাকা। সে হিসেবে প্রাক্কলিত দরের চেয়ে প্রতি লিটার ১৩ টাকা ৯০ পয়সা কম দরে এবং খুচরা বাজার মূল্য থেকে ১৮ টাকা ৫০ পয়সা কম দরে তেল কেনা হচ্ছে। এ ছাড়া অগ্রীম আয়কর, মূসক ও টিসিবির গুদামে পরিবহন ব্যয় ইত্যাদি খরচ বাদে প্রতি লিটার তেলের প্রকৃত দর হচ্ছে ১৫৬ টাকা ২৭ পয়সা। এই দর বর্তমান স্থানীয় বাজারের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ বলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে।
আগামীতে অনুষ্ঠেয় সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হতে পারে। অর্থমন্ত্রীর সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল প্লাটফর্মে বৈঠকটি কাল বুধবার অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে জানা গেছে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ