নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি: বগুড়ার নন্দীগ্রামে কৃষকের মরিচ গাছে ঘাস মারার ওষুধ দিয়ে চাষাবাদ নষ্ট করার অভিযোগে আক্কাস আলী (৫৩) নামের এক কীটনাশক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ। তিনি উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কামল্যা গ্রামের মৃত কফিল উদ্দিনের ছেলে।
ওই ব্যবসায়ী নিজের দোকান থেকে আগাছানাশক ওষুধ নিয়ে গভীর রাতে কৃষকের মরিচ গাছে প্রয়োগের মাধ্যমে চাষাবাদ নষ্ট করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন ক্ষতিগ্রস্ত চাষি মুনছুর হোসেন। তিনি কামল্যা পশ্চিমপাড়ার সহির উদ্দিন ছাহের আলীর ছেলে।
মামলার বিবরণে বলা হয়, কামুল্যা মৌজায় ১২ শতক জমিতে মরিচের চাষ করছেন কৃষক মুনছুর। এ বছর চাষকৃত গাছে মরিচ ধরা শুরু করে। গত ২৪ আগস্ট ওই কৃষক জমিতে গিয়ে দেখেন তার মরিচ গাছগুলো ঝিমিয়ে পরছে। পরবর্তীতে গাছগুলো মরে যায়। এতে কৃষকের ৮০হাজার টাকা ক্ষতি হয়।
তিনি বুঝতে পারেন কেউ শত্রুতা করে মরিচ গাছে ঘাস মারার ওষুধ প্রয়োগ করেছে। এজন্য মরিচ গাছ নষ্টকারীকে খুঁজছিলেন ক্ষতিগ্রস্ত ঐ চাষি। স্থানীয় লোকজনকে বিষয়টি জানানোর পর একজন প্রত্যক্ষদর্শী স্থানীয়দের উপস্থিতিতে জানিয়েছেন, আক্কাস আলীর বাড়িতেই কীটনাশকের দোকান।
গত ২৩ আগস্ট দিবাগত রাত ৮টার দিকে আক্কাস আলী নিজের দোকানে দুই লিটারের প্লাস্টিকের বোতলে পানির সঙ্গে আগাছানাশক ওষুধ মিশ্রণ কৃষক মুনছুরের জমিতে গিয়ে মরিচ গাছে আগাছানাশক প্রয়োগ করে ।
ক্ষতিগ্রস্ত চাষি মুনছুর হোসেন বলেন, তিনি আবারও মরিচের চারা রোপন করেছেন। মামলা দায়ের করায় কীটনাশক ব্যবসায়ীর ছেলে ও তার পরিবারের সদস্যরা ভয়ভীতিসহ বিভিন্নভাবে হয়রানীর চেষ্টা করছে এবং মিথ্যা মামলায় ফাঁসাবে বলে হুমকি দিচ্ছে। এ কারণে জমিতে মরিচের চাষাবাদ নিয়ে শঙ্কায় দিন কাটছে।
আজ সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) থানার উপ-পরিদর্শক শরিফুল ইসলাম জানান, মরিচের জমিতে অনাধিকার প্রবেশ করে গাছে আগাছানাশক ওষুধ প্রয়োগ করে চাষাবাদে ক্ষতিসাধনের অভিযোগে আক্কাস আলীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করা হয়।