বাজেট বৈষম্য দূর করে সমতল ভূমির আদিবাসীদের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ড, ১০০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প, আবাসন নির্মাণ অন্তর্ভুক্তিসহ ৭০০শ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ এবং আদিবাসীদের সাংবিধানিক স্বীকৃির দাবিতে জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বগুড়ার উদ্যোগে এক বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন বল জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বগুড়ার সভাপতি সন্তোষ শিং, সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন বাসদ বগুড়া জেলা সদস্য সচিব দিলরুবা নূরী, জাতীয় আদিবাসী পরিষদ বগুড়া জেলার সহ-সভাপতি শ্রী যুগেশ শিং, শেরপুর উপজেলার আহ্বায়ক স্বপন শিং, নন্দিগ্রাম উপজেলার সভাপতি গৌতম মাহাতো, জেলার সহ-সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ মালো, সারিকান্দি উপজেলার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি রঞ্জিত মালো, গাবতলী উপজেলার সভাপতি প্রভাত মালো, ধুনট উপজেলার সদস্য সচিব পলাশ বাগদি, শেরপুর উপজেলার উপদেষ্টা রাশেদুল ইসলাম, ববিতা রানী, ঊষা রানী, চন্দনা রানী, লাবনী রানী, বিপ্লব বর্মন। সঞ্চালনা করেন শেরপুর উপজেলার সদস্য সচিব হীরালাল শিং।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, সমতলের আদিবাসীরা দীর্ঘদিন যাবৎ সাংবিধানিক স্বীকৃতির দাবি জানাচ্ছে সেইসাথে পৃথক মন্ত্রণালয় এবং ভূমি কমিশন, ভূমি মন্ত্রণালয়ের রাষ্ট্রীয় অধিগ্রহন, ১৯৫০ সালের প্রজাসত্ত্ব আইনের ৯৭ ধারার মোতাবেক সকল আদিবাসীগণের ভূমি সমস্যা সমাধানসহ ৯ দফা দাবি করে আসছে। কিন্তু সেসব বাস্তবায়ন করতে হলে বাজেটে বিশেষ বরাদ্দ রাখা জরুরী। এই আদিবাসীদের ভূমি, আবাসন, শিক্ষা, চিকৎসা নিশ্চিত করতে হলে বাজেটে বিশে বরাদ্দ থাকতে হবে। গত কয়েক বছরের বাজেট দেখলে দেখা যায় বাজেটের আকার বড় হচ্ছে, অথচ আদিবাসীদের জন্য বরাদ্দ ক্রমাগত কমে আসছে। এবার ২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের বাজেট প্রস্তাবে সুনির্দিষ্টভাবে কিছু বলা নাই আদিবাসীদের নিয়ে।প্রায় ৫০ লাখ আদিবাসী জনগোষ্টীর নাগরিক অধিকার বৈষম্যের মধ্যে রেখে দেশে গণতন্ত্র হয় না৷ হতে পারে না।
তাই নেতৃবৃন্দ বাজেট বৈষম্য দূর করে সমতল ভূমির আদিবাসীদের জন্য ভিজিএফ, ভিজিডি কার্ড, ১০০ দিনের কর্মসৃজন প্রকল্প, আবাসন নির্মাণ অন্তর্ভুক্তিসহ ৭০০শ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ দাবি জানায়।
সেইসাথে তাদের উপর ভূমি দখলদারদের যে হামলা, মামলা, আদিবাসীদের তাদের জমি, বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করার ষড়যন্ত্র তা বন্ধের দাবি জানান।
