ধুনট (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়া জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা বলেছেন, শেখ হাসিনা বলেছিলেন, শেখ হাসিনা পালায় না। এ ক’দিন পরই শেখ হাসিনা পালিয়েছেন। এই ধুনট উপজেলায় ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীদের নির্যাতনে মানুষ অতিষ্ট হয়ে ছিলেন।
আজকে তারা কোথায় আছেন, তারাও পালিয়েছে। কারণ শেখ হাসিনা যখন পালিয়েছেন, তখন তাদের তো কোন খবরই নাই। আওয়ামী লীগের বন্ধুদের বলতে চাই, দেখেন আপনারা এমন এক নেত্রীর রাজনীতি করেন। যিনি আপনাদের রেখে পালিয়েছেন পরিবারসহ। এখন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কি হবে, তিনি কিন্তু চিন্তা করেন নাই।
তিনি আরো বলেন, আজকে দেশের মানুষ প্রাণ ফিরে পেয়েছেন, নিঃশ্বাস ফিরে পেয়েছেন। আমরা একাত্তর সালে স্বাধীনতার যুদ্ধ করেছি। কিন্তু আজকের যুব সমাজ সেই স্বাধীনতার যুদ্ধ দেখে নাই। কিন্তু চব্বিশের যুদ্ধ, ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থান-এই যুদ্ধ দেখেছে।
তারা পালিয়েছে। তারা বাংলাদেশে নাই। আমাদের নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া বলেছেন এই দেশ আমার, এদেশের মানুষ আমার, এদেশের মাটি আমার। আমার যদি মৃত্যু হয় এদেশেই হবে। আর আওয়ামী লীগের শেখ হাসনিা উনি আসলে বাংলাদেশের মানুষের বন্ধু না। উনি আসলে ভারতের বন্ধু।
আজ শনিবার (২৬ অক্টোবর) বিকেল ৪টায় ধুনট সরকারি নইম উদ্দিন পাইলট মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে উপজেলা বিএনপি ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ্ব একেএম তৌহিদুল আলম মামুনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক এমপি আলহাজ্ব মোশারফ হোসেন।
ধুনট উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল মুনছুর আহম্মেদ পাশা ও পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহবুব হোসেন চঞ্চলের সঞ্চালনায় সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সাবেক প্রধান মন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা একেএম মাহব্বুর রহমান, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য আলী আজগর তালুকদার হেনা, জেলা বিএনপির সহসভাপতি এম আর ইসলাম স্বাধীন, এড. হামিদুল হক চৌধুরী হিরু, মাফতুল আহম্মেদ খান রুবেল, উপদেষ্টা এড. সাইফুল ইসলাম, এড. মোজাম্মেল হক, জয়নাল আবেদীন চাঁন, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক শেখ তাহা উদ্দিন নাইম, সাংগঠনিক সম্পাদক সহিদ-উন-নবী সালাম, একেএম খায়রুল বাশার ও হেলাল উদ্দিন।
সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক নাজমা বেগম, জেলা যুবদলের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাধারণ সম্পাদক আবু হাসান, জেলা স্বেচ্ছাসেবকদলের সভাপতি সরকার মুকুল, সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান শুভ, জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম রনি, জেলা তাঁতী দলের সভাপতি সরোয়ার হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সভাপতি হাবিবুর রশিদ সন্ধান, সাধারণ সম্পাদক এম আর হাসান পলাশ, ধুনট উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আনিছুর রহমান বাদশাহ, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আপেল মাহমুদ, মুনজিল হোসেন, পৌর বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কামরুল হাসান, সাহিদ মাহমুদ সুমন, যুবদল নেতা আব্দুল হালিম, আবু তালহা শামীম খান, মোহাম্মদ আলী জন, কৃষকদল নেতা শামীম আহম্মেদ, শ্রমিকদল নেতা বনি আমিন, তাঁতী দল নেতা আমিনুল ইসলাম পাঠান, ছাত্রদল নেতা সাইদুজ্জামান নোমান, রকিবুল হাসান রকি ও জিন্নাহুর রহমান রাকিব।