তেল-গ্যাস রক্ষা কমিটির ৬ দফা দাবি ঘোষণা

বগুড়া নিউজ ২৪: তেল, গ্যাস, খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব ও উপদেষ্টাসহ জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে।

শনিবার (২৬ অক্টোবর) বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতের রূপরেখা: বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে এ দাবি জানান কমিটির নেতারা।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ, অধ্যাপক এম এম আকাশ, অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, অধ্যাপক ড. আনিস চৌধুরীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠনের নেতারা।

কমিটির শীর্ষ নেতা অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এই জাতীয় কমিটি কাজ শুরু করেছিল গ্যাস রপ্তানির বিরোধিতা করে। বাংলাদেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুতের দরকার নেই। রামপাল, রূপপুর বাতিল করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতি হবে। এই সরকারের কয়েকজন সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। রামপাল কয়লাবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আশা করি, তারা এ বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেবেন।

তিনি বলেন, কাঠ কয়লা এবং খনিজ কয়লার মধ্যে পার্থক্য আছে। বিগত সরকারপ্রধান একবার বলেছিলেন, তিনি ছোটবেলায় কয়লা দিয়ে দাঁত মেজেছিলেন। তাই কয়লা কোনো ক্ষতি করবে না। কিন্তু আসল বিষয় হলো দাঁত মাজার কাঠ কয়লা আর খনিজ কয়লার মধ্যে পার্থক্য রয়েছে।

মতবিনিময় সভায় বক্তারা বলেন, জনগণ যেন সঠিক দাম, মাপ ও মানে নিরবচ্ছিন্নভাবে বিদ্যুৎ, প্রাথমিক জ্বালানি ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি সেবা পায়, সে জন্য বিদ্যুৎ ও প্রাথমিক জ্বালানি সরবরাহের সকল পর্যায়ে স্বচ্ছতা, ন্যায্যতা, সমতা, যৌক্তিকতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে হবে।

এ সময় তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে ছয় দফা দাবি উপস্থাপন করা হয়।

দাবিগুলো হলো:

১. জাতীয় স্বার্থ রক্ষার্থে বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য কমাতে স্বল্প মেয়াদে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে;

২. বিগত সরকারের আমলে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি চুক্তি ও সম্ভাব্য চুক্তি পুনর্মূল্যায়ন করতে হবে;

৩. স্বৈরাচারী সরকারের সংগঠিত সব জ্বালানি অপরাধের বিচার করতে হবে;

৪. বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার ও বিদ্যুৎ খাত পরিকল্পনার প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা তৈরি করতে হবে;

৫. দেশীয় গ্যাস উত্তোলন ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে, আমদানি করা গ্যাসের ওপর নির্ভরতা কমাতে হবে এবং সাগরে গ্যাস উত্তোলনে বাপেক্সের সক্ষমতা বৃদ্ধি করতে হবে;

৬. নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ করে প্রতিযোগিতামূলক বিডিং নিশ্চিত করতে হবে।

Please follow and like us:

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

পুরানো সংবাদ
সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০১১১২১৩
১৪১৫১৬১৭১৮১৯২০
২১২২২৩২৪২৫২৬২৭
২৮২৯৩০৩১