গাইবান্ধা প্রতিনিধি: গাইবান্ধা সদর উপজেলার কামারজানির গোঘাটে অবৈধ বালু উত্তোলন চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রচারের জেরে মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন তিন সাংবাদিক। এ মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন, প্রতিবাদ সমাবেশ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
সোমবার (৩ মে) দুপুরে গাইবান্ধার ডিবি রোডে গাইবান্ধা প্রতিবাদী সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় সাংবাদিক শফিউল ইসলামের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন কালবেলার জেলা প্রতিনিধি কে এম নেয়ামুল আহসান পামেল, এশিয়ান টিভির খালেদ হোসেন, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি অমিতাভ দাশ হিমুন, জাভেদ হোসেন, ইদ্রিস উজ্জামান মোনা ও মামলার শিকার মিলন খন্দকার, মো. সুমন মিয়া, রিয়ন ইসলাম রকিসহ আরও অনেকে
বক্তারা বলেন, বালু উত্তোলনের মাধ্যমে ওই এলাকার প্রকৃতি ও পরিবেশ বিনষ্ট হচ্ছিল। এলাকাবাসীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওই সাংবাদিকরা গত ১৭ ফেব্রুয়ারি তাদের টেলিভিশন ও সংবাদপত্রে বিষয়টি নিয়ে একটি প্রতিবেদন তুলে ধরেন। পরে তাদের নানাভাবে ম্যানেজের চেষ্টা করে বালুখেকো চক্র ও একটি প্রভাবশালী মহল। তারা রাজি না হলে সংবাদ প্রচারের আড়াই মাস পর গাইবান্ধা থানায় চাঁদাবাজির মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়। তারা উচ্চ ও স্থানীয় আদালত থেকে জামিন গ্রহণ করেন। সাংবাদিক নেতারা এ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলা প্রত্যাহারের জোর দাবি জানান।
মামলার ভুক্তভোগী সাংবাদিক মিলন খন্দকারসহ সাংবাদিক নেতারা জানান, ওই বালুখেকো চক্রের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালত ২০ লাখ টাকা জরিমানা করে। একজন সরকারি কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলাও করেন। সেই ঘটনাকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করতে প্রভাবশালী চক্রকে ম্যানেজ করে মামলাটি দায়ের করা হয়। তিনি ওই চক্রের মূলহোতা মামলার বাদী জাহাঙ্গীর মিয়াসহ অন্যদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান।
পরে সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা শহরের ব্যস্ততম সড়ক ডিবি রোড প্রায় ঘণ্টাব্যাপী অবরোধ করে রাখে।