স্টাফ রিপোর্টার : জোড়া খুন মামলার প্রধান আসামি বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক কবীর আহম্মেদ মিঠুর মামলা প্রত্যাহারসহ মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও সমাবেশ করেছে জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সদস্যরা।
আজ শনিবার (২২ জুন) বেলা ১১টায় শহরের সাতমাথায় মানবন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে প্রশাসনের প্রতি আগামি ৩০ জুন পর্যন্ত মিঠুকে মুক্তির আল্টিমেটাম দেয়া হয়। মানববন্ধনে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের ৫শতাধিক নেতা-কর্মী অংশ নেয়।
মানববন্ধন চলাকালে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল হামিদ মিটুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে বক্তব্য রাখেন বগুড়া জেলা বাস, মিনিবাস ও কোচ পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক বগুড়া পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম, গ্রেফতার হওয়া সৈয়দ কবীর আহম্মেদ মিঠুর বড় মেয়ে সৈয়দ সানজিদা আহম্মেদ তুশি, বগুড়া জেলা ট্রাক শ্রমিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুল মান্নান মন্ডল, বগুড়া জেলা মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল গফুর প্রামাণিক, সংগঠনের সাংস্কৃতিক সম্পাদক আব্দুর রব মানিক প্রমুখ।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, ঘটনার রাতে বাড়ির কাছে হৈ-হুল্লোর শুনে ওই ঘটনায় প্রায় ২০ মিনিট পর মোটর শ্রমিমের সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ কবির আহম্মেদ মিঠু ঘটনাস্থলে যান। এ সময় তিনি পুলিশকে খবর দিয়ে বিষয়টি সম্পর্কে সহযোগিতা করতে বলেন। তাছাড়া পরদিন তাকে র্যাব-১২ অফিস থেকে ফোন করে ডেকে পাঠালে তিনি নিজে র্যাব অফিসে যান।
ঘটনার সাথে তিনি যদি আদৌ জড়িত থাকতেন তা’হলে আত্মগোপনে চলে যেতেন। আর র্যাব অফিসে যেতেন না। ঘটনার নিরপেক্ষ তদন্ত দাবি করে বক্তারা বলেন, আমরা শ্রম দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি এবং সাধারণ মানুষদের সেবা প্রদান করে থাকি, রাজনীতি করি না। মিঠুকে গ্রেপ্তারের পরদিন শ্রমিকরা আন্দোলনের ডাক দিতে পারতো। কিন্তু ঈদে কর্মমূখী মানুষের কর্মস্থলে যেতে বাধা হবে বিধায় কোন প্রকার হঠকারি সিদ্ধান্ত না নিয়ে শান্তিপূর্ণ মানববন্ধন করা হচ্ছে।
সমাবেশ থেকে প্রশাসনের প্রতি আল্টিমেটাম দিয়ে বলা হয় আগামি ৩০ জুনের মধ্যে শ্রমিক নেতা সৈয়দ কবীর আহম্মেদ মিঠুকে মুক্তি না দিলে পরদিন সংগঠনের বিভাগীয় কমিটির সাথে এবং অন্যান্য শ্রমিক সংগঠনের সাথে সভা করে বৃহত্তর আন্দোলন কর্মসূচি দেয়া হবে। এমন কি পরিবহন সেক্টর বন্ধ করে সারাদেশ অচল করে দেয়া হবে।
এর আগে বগুড়া মোটর শ্রমিক ইউনিয়নের কার্যালয় স্টেশন রোড সহ শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে দলে দলে শ্রমিক নেতা-কর্মীরা সাতমাথায় মানববন্ধনে মিলিত হয়। সাতমাথা থেকে মানববন্ধনটি সার্কিট হাউজ পর্যন্ত বিস্তার লাভ করে।