স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার নয়া পুলিশ সুপার হিসেবে বদলি করা হয়েছে মো. জেদান আল মুসাকে। তাকে সিলেট রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয় থেকে বগুড়ায় বদলি করা হয়।
আর বগুড়ার পুলিশ সুপার জাকির হাসানকে চট্টগ্রাম রেঞ্জ ডিআইজি কার্যালয়ে সংযুক্ত করা হয়েছে। উল্লেখ্য, সারাদেশে ২৬ পুলিশ সুপার (এসপি) পদমর্যাদার কর্মকর্তাকে ২৬ জেলার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ পুলিশ-১ শাখা থেকে জারি করা প্রজ্ঞাপনে এ বদলি করা হয়। রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে প্রজ্ঞাপনে সই করেন উপ-সচিব মো. মাহাবুর রহমান শেখ।স্টাফ রিপোর্টার : বগুড়ার বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবদুল বাকী হত্যাকান্ডের ঘটনায় ১০ বছর পর মামলা হয়েছে। মামলায় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১৮ নেতাকে আসামি করা হয়েছে।
আবদুল বাকীর বাবা ইয়াকুব আলী বাদি হয়ে বগুড়া সদর থানায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) এই হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও ৫০ জনকে আসামি করা হয়েছে। মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বগুড়া সদর থানার ওসি মো. সাইহান ওলিউল্লাহ।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরা হলেন-বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাগর কুমার রায়, জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আল রাজী জুয়েল, জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক মাশরাফী হিরো, জেলা যুবলীগের সভাপতি শুভাশীষ পোদ্দার লিটন, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক অসীম কুমার রায়, সরকারি আজিজুল হক কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি বেনজীর আহম্মেদ ও মশিউর রহমান, জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সজীব সাহা, বগুড়া শহর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আতাউর রহমান আতা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি স্বপন সরকার।
বগুড়ার শেরপুর উপজেলার খামারকান্দি গ্রামে বাসিন্দা নিহত আবদুল বাকীর বাবা বাদি ইয়াকুব আলী মামলার আর্জিতে উল্লেখ করেন, বিয়াম মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষক আবদুল বাকীর ২০১৪ সালের ২৪ জানুয়ারি বিয়ের দিন ধার্য্য ছিল। ২১ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বাসরঘর সাজানোর ফুল কিনতে সাতমাথা ফুলপট্টিতে যান তিনি।
এসময় আসামিরা পূর্বপরকল্পিতভাবে দেশিয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ফুলপট্টিতে আবদুল বাকীকে আসামিরা ঘিরে ধরেন। এসময় শুভাশীষ পোদ্দারের হুকুমে আসামি বেনজীর হত্যার উদ্দেশ্যে বার্মিজ চাকু দিয়ে আবদুল বাকীকে ছুরিকাহত করেন। পরে অন্য আসামিরা হত্যার উদ্দেশ্যে উপর্যুপরী ছুরিকাহত এবং রড-লাঠি দিয়ে আবদুল বাকীর মাথায় আঘাত করেন।
এসময় রক্তাক্ত জখম হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়লে অন্য আসামিরা লাঠি ও রড দিয়ে আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করেন। শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর চিকিৎসকেরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
মামলার এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, লাশ দাফনের পর বগুড়া সদর থানায় মামলা দিতে গেলে তৎকালীন আওয়ামী স্বৈরশাসকের নেতার চাপে পুলিশ মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে সাদা ও হলুদ কাগজে স্বাক্ষর গ্রহণ করে থানা থেকে তাড়িয়ে দেন এবং মামলা না করার জন্য হুমকি দেন। ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছাড়ার পর থানায় মামলা দায়েরে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন, ২০১৪ সালে শিক্ষক আবদুল বাকী হত্যাকান্ডের ঘটনায় আজ বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) সদর থানায় মামলা হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।