কোর্ট রিপোর্টার : গত ৫ আগস্ট বগুড়া শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার মিছিলে হামলা চালিয়ে গুলি বর্ষন ও হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করে আহত করার অভিযোগে জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মজিবর রহমান মজনু ও সধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান (রিপু)সহ আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গ সংগঠনের ১৭২ জন নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে বগুড়ার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে।
গতকাল বুধবার অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শুকান্ত সাহা বাদির জবানবন্দী গ্রহন করে মামলার অভিযোগ বিষয়ে তদন্ত করে প্রতিবেদন দেয়ার জন্য বগুড়া সদর থানার ওসির প্রতি নির্দেশ দেন। এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আরো ৬০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার উল্লেখযোগ্য আসামিরাা হলেন বগুড়া পৌর সভার ১৫ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর আমিনুল ইসলাম. শহরের চকসুত্রাপুরের আওয়ামীলীগ নেতা আব্দুল মান্নান আকন্দ, শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান মোস্তা ও সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুর রহমান মানিক, সাবেক সভাপতি আজিজুল হক, সহ-সভাপতি যথাক্রমে শামীম, আব্দুল কাদের (বাবলু), আব্দুল করিম, মতি, হাফিজার, রাম নারায়ন (কানু), শহরের নিশিন্দারা খাঁপাড়ার মিনি পিকআপ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক যুবলীগ নেতা বুলবুল, সাবেক পৌর কাউন্সিলর রেজাউল করিম (ডাবলু), শিবগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শিবলী, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার সারোয়ার, সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান টুম্পা, মোকামতলা ইউপি চেয়ারম্যান সবুজ, শিবগঞ্জ পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি মো: কায়েব ও সাধারণ সম্পাদক জয় ইসলাম, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষক লীগের মাহবুব, দৈউলী ইউপি চেয়ারম্যন জাহেদুল, পিরব ইউপি চেয়ারম্যান মিলটন, আটমুল ইউপি চেয়ারম্যান বেলাল, কিচক ইউপি চেয়ারম্যান শ্াহজাহান চৌধুরী, বুড়িগঞ্জ ইউপি চেয়ারম্যান চঞ্চল, মোহনা টিভির বগুড়া প্রতিনিধি অতিকুর রহমান আতিক, শিবগঞ্জ পৌরসভার অফিস সহকারি মো: বদিউজ্জামান, শিবগঞ্জ বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে অফিস সহকারি আরেফিন হক আফতাব।
বগুড়া সদর উপজেলার পলাশবাড়ী গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে মোঃ সাওন মিয়া বাদি হয়ে ওই আসামিদের বিরুদ্ধে এই মামলা দায়ের করেন। মামলার অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন যে গত ৫ আগস্ট দুপুর ১ টার দিকে শহরের কবি নজরুল ইসলাম সড়কে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার মিছিল সাতমাথার দিকে অগ্রসর হওয়ার সময় আন্দোলনকে দমানের জন্য স্বৈরাচার সরকারের আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা-কর্মীরা বাধা দেয়। এসময় মজিবর রহমান (মজনু) এর হুকুমে এই মামলার আসামি রাগেবুল আহসান (রিপু),আমিনুল ইসলাম, আব্দুল মান্নান আকন্দ, সেলিম মাহমুদ গনের হাতে থাকা পিস্তল দিয়ে ছাত্র জনতার ওপর গুলি ছোঁড়ে। এ ছাড়া আসামিরা লোহার রড লাঠি, কাঠের বাটাম ও লোহার এঙ্গেল দিয়ে মারপিট করে । এসময় আসামি রিপুর পিস্তল দিয়ে ছোঁড়া গুলি বাদি সাওন মিয়ার শরীরে ও দু’পায়ে লেগে রক্ত ক্ষরণ হতে থাকে। এরপর তাকে উদ্ধার করে ঠনঠনিয়ায় সাদমান ক্লিনিকে চিকিৎসা করানো হয়। এরপর তাকে শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।