শাজাহানপুর (বগুড়া) প্রতিনিধিঃ বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার ওমরদিঘী বন্দর এলাকায় সরকারি চাল ক্রয়-বিক্রয়ের তথ্য সংগ্রহ করতে গিয়ে ভিডিও এবং ছবি ধারন করার সময় সাংবাদিক রায়হানুল ইসলাম ও মিলন নামের ক্যামেরা পার্সনকে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে। সাংবাদিক সে তার আইডি কার্ড দেখালেও তাকে কোন প্রকার ছাড় দেয়নি সরকারি চাল ক্রয়ের সাথে জড়িত দুর্বৃত্তরা। শুধু তাই নয়, সংবাদ পেয়ে পুলিশ গেলেও ওই সিন্ডিকেট চক্রের কথামত ঐ সাংবাদিককে হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক সাংবাদিক ফোরাম বগুড়া জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও এ ঘটানায় সংগঠনটির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদও জানানো হয়েছে।
সংগঠনটির সাংবাদিক নেতারা জানান, ১৯ আগষ্ট সরকারী চাল ক্রয় বিক্রয় ও এক দোকানে মজুত করার সংবাদ পেয়ে দৈনিক গন মানুষের আওয়াজ পত্রিকার সাংবাদিক রায়হানুল ইসলাম তথ্য সংগ্রহ করতে আরও দুই সাংবাদিককে সাথে নিয়ে যান। সাংবাদিকদের উপস্থিতি টের পেয়ে সিন্ডিকেট এর লোকজন ক্ষিপ্ত হয়ে ভূয়া ডিবির অপবাদ দিয়ে চিল্লা চিল্লি করতে থাকে এবং গন ধোলাই দেয়। কেউ কেউ আবার ভিডিও করে ফেসবুকে ছড়িয়ে দেয়।
এ ঘটনায় রাতেই বগুড়া থেকে বিএমএসএফ এর নেতৃবৃন্দ সহ শাজাহানপুর উপজেলা সাংবাদিক বৃন্দ সেখানে গিয়ে আটক সাংবাদিককে শনাক্ত করার পরেও ওসি তার সিদ্ধান্তে অনড় থাকেন। সাংবাদিক বৃন্দের হাতে নাতে পাওয়া সরকারি চাল থাকার পরেও চাল সিন্ডিকেটদের বাঁচাতে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিবি পরিচয়ে চাঁদাদাবাির মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয় সাংবাদিকরা জানান ইতি পূর্বে ওই এলাকায় বিপুল পরিমান সরকারি চাল জব্দ করেছিল স্থানীয় প্রশাসন। সরকারি চাল কেনা বেচা হচ্ছে জেনে তিন সাংবাদিক ঘটনা স্থলে যান। ভিডিও ও ছবি সংগ্রহ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে চাল ব্যাবসায়ী আসিকুর রহমান সংগে থাকা লোকজন ভুয়া ডিবি বলে চিল্লাচিল্লি শুরু করে এবং মারধর শুরু করে একপর্যায়ে তারা সাংবাদিক হিসাবে পরিচয় দেন এবং আইডি কার্ড দেখালে ৯৯৯ নাম্বারে ফোন করে পুলিশকে জানান। এসময় স্থানীয়রা সাংবাদিক আটকের ছবি ফেসবুকে ছড়িয়েদেন।
পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে তাদেরকে আটক করে থানায় নিয়ে গিয়ে সাংবাদিক পরিচয় পাওয়ার পরেও ভূয়া ডিবি পরিচয় দানকারী ও চাঁদাবাজ হিসাবে কোর্টের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করেন। কিন্তু জব্দকৃত তালিকায় সাংবাদিকের আইডি কার্ড, ভিডিও ফুটেজ, সরকারি চালের বস্তা ও ক্যামেরা উল্লেখ করা হয়নি।
সাংবাদিকরা জানান, সাংবাদিক বৃন্দের হাতে নাতে পাওয়া সরকারি চাল থাকার পরেও চাল সিন্ডিকেটদের বাঁচাতে দুই সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিবি পরিচয়ে চাঁদাদবাির মামলা দায়ের করেছে পুলিশ।। আর সরকারি চাল অবৈধভাবে মজুত থাকলেও সেসব আটক করা হয়নি এবং জড়িতদেরও আইনের আওতায় আনা হয়নি। যা আইনের অপপ্রয়োগ মনে করছেন সাংবাদিক নেতারা।
এবিষয়ে শাজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম জানান আটককৃতদের কাছ থেকে সাংবাদিকতার আইডি কার্ড, ভিডিও ক্যামেরা, মাইক্রোফোন পেয়েছি, যা মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকোট রাখা আছে। আটককৃতদের পরিবার চাইলে সেগুলো হস্তান্তর করা হবে। আর আটককৃতদের জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে জব্দ তালিকায় ক্যামেরা, সাংবাদিকতার আইডি কার্ড, ভিডিও কেন উল্লেখ করা হয়নি, তার কোন সদুত্তর দিতে পারেননি।
Please follow and like us: