মান্দা (নওগাঁ) প্রতিনিধি: নওগাঁর মান্দায় ডিপড্রেজার মেশিনের সাহায্যে ইজারাবহির্ভূত এলাকা আঁয়াপুর মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগ উঠেছে ইজারাদারের বিরুদ্ধে। আত্রাই নদের উজান অংশের এ পয়েন্ট থেকে ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে গত চার মাসে অন্তত কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, আঁয়াপুর এলাকায় আত্রাই নদের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ হুমকির মুখে পড়ায় ২০১৯ সালে জেলা বালুমহাল ইজারা কমিটি ও নওগাঁ পানি উন্নয়ন বোর্ডের যৌথ সভায় বালুমহাল ইজারার তালিকা থেকে আঁয়াপুর মৌজা বাদ দেওয়া হয়। এর পরও ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন প্রভাব খাটিয়ে ডিপড্রেজার মেশিন দিয়ে গত চার মাস ধরে ঝুঁকিপূর্ণ ওই পয়েন্ট থেকে বালু উত্তোলন করছে।
এ অবস্থায় ইজারা বহির্ভূত আঁয়াপুর মৌজা থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধের দাবিতে নওগাঁ জেলা প্রশাসক, মান্দা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বরাবর অভিযোগ দিয়েছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
উপজেলার দোসতি গ্রামের বাসিন্দা ময়নুল ইসলাম বলেন, এভাবে বালু উত্তোলন অব্যাহত থাকলে হুমকির মুখে পড়বে আত্রাই নদের উভয় তীরের গাছপালা, বসতবাড়িসহ পাঠাকাটা বাজার। নদের গর্ভে বিলীন হওয়ার শঙ্কা রয়েছে উভয় তীরের বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধ। ঝুঁকির মুখে রয়েছে পাঠাকাটা খেয়াঘাট। এ বিষয়ে নওগাঁ জেলা প্রশাসকসহ একাধিক দপ্তরে অভিযোগ দেওয়া হলেও বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়নি।
নেওয়া হয়নি ইজারাদারের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা। অবৈধভাবে বালু উত্তোলন প্রসঙ্গে ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন বলে, আয়কর, ভ্যাটসহ আত্রাই নদের উজান অংশের বালুমহাল ১ কোটি ৯৩ লাখ টাকায় বাংলা ১৪৩০ সনের জন্য ইজারা নিয়েছি।
এরপর পহেলা বৈশাখ থেকে বালু উত্তোলন করছি। দরপত্রের তালিকায় আঁয়াপুর মৌজা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সে বলে, দরপত্রের তালিকায় আঁয়াপুর মৌজা নেই। আমি মহাদেবপুরের পাঠাকাটা মৌজা থেকে বালু তুলছি।
এ প্রসঙ্গে মান্দা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সী বলেন, পরিমাপ করে দেখা গেছে ইজারাদার মোয়াজ্জেম হোসেন আঁয়াপুর মৌজা থেকে বালু উত্তোলন করছে। মৌজাটি ইজারার তালিকাভূক্ত নয়। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।